পুঠিয়া প্রতিনিধি
পুঠিয়া উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শেষে প্রায় চার বছর আগে উদ্বোধন করা হয়েছে। ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে মাত্র একদিনের জন্য তালা খোলা হয়েছিল। তবে ভবনটিতে ইতিমধ্যে পল্লীবিদ্যুতের বকেয়া বিল এসেছে প্রায় ২৬ হাজার টাকা যা পরিশোধে কেউ কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছে বিদ্যুৎ অফিস।
নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের পর সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। তালাবদ্ধ থাকলেও প্রতি মাসে ন্যূনতম বিল জমে জমে চার বছরে প্রায় ২৬ হাজার টাকা বকেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে, তাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগে তাঁকে অবহিত করা হবে।
উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনও দায়িত্ব পালন করছেন। ওই ভবনের সব দায়িত্ব তাঁর। বিদ্যুতের বকেয়ার বিষয়টি তিনিই দেখবেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রমও আগের মতো আর হয় না। ফলে নিজেদের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ থাকলে সেগুলো পুরোনো অফিসেই সেরে ফেলা হয়।
জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ও জাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর বর্তমান এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ও জাদুঘর ভবনটি উদ্বোধন করেন। শুধু উদ্বোধনের দিন ভবনের তালা খোলা হয়েছিল। এরপর থেকে ভবনটি তালাবদ্ধ পড়ে আছে।
আমজাদ হোসেন নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, নতুন ভবনটি চার বছর ধরে তালাবদ্ধ। তদারকি না থাকায় ভবনের বিভিন্ন স্থানে লতাপাতা জন্মেছে। ভবনের ভেতরে ধুলাবালির আস্তরণ পড়েছে। অব্যবহৃত থাকায় লোহার তৈরি বিভিন্ন উপকরণে মরিচা ধরেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ‘অনেক দিন আগে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ও জাদুঘর ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। ভবনটি ব্যবহারের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বলাও হয়েছে। তবে তাঁরা কেন আসছেন না বুঝতে পারছি না।’
বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি আমি জেনেছি। বিল পরিশোধের বিষয়টি আমরা দেখব।’