এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্রী রিংকু করের।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন নিখিল চন্দ্র করের মেয়ে রিংকু কর বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে চিকিৎসক হব। সে স্বপ্ন নিয়ে কোনোমতে পড়ালেখা চালিয়ে গেছি। পাঁচ সদস্যের অভাবের সংসার আমাদের। এত দিন আমার মা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার পরিচালনার পাশাপাশি আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন। প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও এখন অর্থাভাবে আমার উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত।’
জানা যায়, রিংকু কর কালকিনি উপজেলার শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়। এর আগে এসএসসি পরীক্ষায় আগৈলঝাড়ার বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫, জেএসসিতে জিপিএ-৫ এবং পিএসসিতে বারপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পায় রিংকু।
শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দুর্লভ আনন্দ বাড়ৈ বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া রিংকু কর একজন মেধাবী ছাত্রী। সে আমাদের কলেজের গর্ব। অর্থাভাবে ওর মতো একজন মেধাবী ছাত্রী যেন ঝড়ে না পরে এটাই আমার প্রত্যাশা।’।
রিংকু করের মা মনিকা রানী কর বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী ও তিন মেয়েকে নিয়ে আমার অভাবের সংসার। দীর্ঘদিন থেকে আমি দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছি। অনেক স্বপ্ন ছিল বড় মেয়ে রিংকু কর একদিন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু অর্থাভাবের কারণে জানি না তাঁর স্বপ্ন সত্যি পূরণ হবে।’