Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বল সুন্দরী বরই চাষে বদলে গেছে আজিজের ভাগ্য

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বল সুন্দরী বরই চাষে বদলে গেছে আজিজের ভাগ্য

বরগুনার তালতলী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ হাওলাদারের ভাগ্য পাল্টে গেছে বল সুন্দরী কুল বা বরই চাষে। তাঁর বরইবাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছেন উপজেলার অনেক কৃষক। এই উপকূলীয় এলাকায় তিনিই প্রথম এই বল সুন্দরী বরই চাষ শুরু করেন।

জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বাদুরগাছা গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ হাওলাদার ছেলে আবদুর রাজ্জাকের পরামর্শে বাড়ির পাশে ৪৫ শতাংশ জমিতে কুল চাষের পরিকল্পনা নেন। গত বছর মে মাসে রংপুর ও মাগুরা থেকে সাড়ে তিন শ বল সুন্দরী কুলের চারা এনে ওই জমিতে রোপণ করেন তিনি। আবদুল আজিজ হাওলাদারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিচর্যায় মাত্র সাত মাসের মাথায় গেল ডিসেম্বরে সবকটি গাছেই থোকায় থোকায় কুল ধরে। এখন প্রতিটি গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় পাকা কুল। এই কুলে এক বছরেই পাল্টে দিয়েছে কৃষক আজিজের ভাগ্য।

গত বছরে কুল চাষে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে তিনি বিক্রি করেন এক লাখ টাকা। এই বছর এক লাখ টাকা খরচ করে বিক্রি করেছেন ৩ লাখ টাকা। তবে এই কুল চাষে তেমন খরচ নেই ও ভালো লাভও আছে বলে জানান কৃষক আবদুল আজিজ। শুধু চারা সংগ্রহ করতেই সমস্যা। ফলন ভালো হওয়ায় তিনি এ বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে এ কুল চাষ করেন। আগামী বছরের জন্য ইতিমধ্যে তিনি চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করেছেন। তাঁর দেখাদেখি ওই এলাকার অনেক কৃষক এ কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। অনেকে তাঁর মাধ্যমে রংপুর ও মাগুরা থেকে চারা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান কৃষক আজিজ।

সরেজমিন দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় কুল ঝুলছে। সুস্বাদু বাহারি রঙের কুল তিনি গাছ থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে মশারি জালের বেড়া দিয়েছেন। বল সুন্দরী কুল চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ বছর তাঁর কুল বিক্রি প্রায় শেষ।

কৃষক আবদুল আজিজ হাওলাদার বলেন, ‘ছেলের অনুপ্রেরণায় আমি কুল চাষের জন্য ৪৫ শতাংশ জমিতে বল সুন্দরী কুলের চাষ করেছি। ভাবিনি প্রথম বছরেই এত ভালো ফলন হবে। প্রথম বছরেও অনেক লাভবান হয়েছি। এ বছরও তিন লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরও ৩৩ শতাংশ জমি প্রস্তুত করেছি। তাতেও বল সুন্দরী কুলের চারা রোপণ করবে। আশা করি আমি অনেক লাভবান হব। আমার কুলবাগান দেখে অনেক কৃষক বল সুন্দরী কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। ইতিমধ্যে ২৫ জন কৃষক চারা সংগ্রহ ও পরামর্শের জন্য আমার কাছে এসেছেন।’

তালতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জাতের বল সুন্দরী কুল দেখতে সুন্দর। খেতেও সুস্বাদু। এ অঞ্চলে এই কুল চাষ নেই বললেই চলে। তিনি আরও বলেন, আবদুল আজিজই প্রথম বল সুন্দরী কুল তালতলীতে চাষ করেছেন। ভালো ফলনও হয়েছে। তার কুল বাগান দেখে অনেক কৃষক এ কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষক আবদুল আজিজসহ যাঁরা কুল চাষে আগ্রহী তাঁদের সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ