অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় সূর্যমুখীর ভালো ফলনের আশা করছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চাষিরা। এ বছর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বারি সূর্যমুখী-৩ চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা কৃষকদের।
উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৩৩ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। তাঁর জমির সূর্যমুখী ফুলগুলো এখন ফলে রূপান্তরিত হচ্ছে। জানা গেছে, সূর্যমুখীর তেল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সূর্যমুখী তৈলবীজ থেকে তেল নিষ্কাশন করে নেওয়ার পর এর থেকে খৈল তৈরি হয়, যা পশুর উৎকৃষ্ট খাবার। গাছগুলোও জ্বালানি হিসেবে হয়েছে ব্যবহার করা হয়। মোশারফের সফলতা পেলে অন্যরা জমিতে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বীজ বপণের মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে বীজ ও তেল পাওয়া সম্ভব। দুর্যোগ সহনীয় হওয়ায় বারি-৩ জাতের সূর্যমুখী ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
সূর্যমুখী চাষি মোশারফ বলেন, ‘অল্প সময়ে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছি। এ ছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অত্যন্ত পুষ্টিকর ও খৈল থেকে পশুর খাবার ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এলাকায় নতুন হওয়ায় অনেকে দেখতে আসছেন সূর্যমুখী ফুলের খেত। আর এতে লাভবান হলে অনেকেই এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন বলেন, ‘সূর্যমুখীর তেল কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে। স্বল্প সময়ে উৎপাদন হয়। লাভও বেশি। তাই এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’