‘মোহাম্মদপুরের পোলাপান, যা করি তা টোকেন ছাড়াই ওপেন, মোহাম্মদপুরের পোলা বাজান, আমি একাই এক শ ও গেঞ্জাম করার আগে ভাইবা লইয়েন’—এমন সব প্রচার চালিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করত ‘ভাইব্বা ল কিং’ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ চক্রের সদস্যরা দিনে অটোরিকশাচালক, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণশ্রমিক ও অফিসের পিয়ন।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান ও বসিলায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য পায় র্যাব। এদিকে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা উদ্যানের সামনে এক দম্পতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরে র্যাবের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সহযোগিতা চান তাঁরা। এর ১০ মিনিটের মধ্যে ‘ভাইব্বা ল কিং’ কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে পরে ওই গ্রুপের আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কিশোর। বাকিরা হল গ্যাং লিডার শরীফ ওরফে মোহন, রুমান, উদয়, শাকিল, নয়ন ও জাহিদ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা ভ্যানিটি ব্যাগ, চারটি ছুরি, একটি কুঠার, ৫০ পুরিয়া গাঁজা, ৬৫টি ইয়াবা ও ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম।
কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা দিনে অটোরিকশাচালক, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণশ্রমিক ও অফিসের পিয়ন। পাশাপাশি টিকটক ভিডিও বানাত আর রাতে করত ছিনতাই। বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র মহড়াসহ ভাড়ায় শোডাউন করে আসছিল। জড়িত ছিল ইভ টিজিংয়ে।