চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ১৮ শিক্ষক এখনো সম্মানী ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করছেন।
তাঁরা বলছেন, শিক্ষকেরা কয়েকবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগযোগ করেও কোনো সুরাহা পাননি।
জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউপির পূর্ব দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (৭ নম্বর ওয়ার্ড) সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে ১৮ শিক্ষক–শিক্ষিকা দায়িত্ব পান। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা চিঠি দিয়ে তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
তবে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ইউপি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি পেয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষকেরা বলছেন, নির্বাচনের ১৪ দিন পরও শিক্ষকেরা ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হোক বা না হোক ভাতা তো নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা চিঠি পেয়ে কেন্দ্রে না গেলে তখন তো আমাদের বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নিত।
আবুরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান নয়ন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৪ দিন ধরে ঘুরছি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোছাইনের সঙ্গে আমাদের পক্ষে মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন যোগাযোগ করলে তিনি কিছু সম্মানী দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কখন সে সম্মানী পাব, সেই নিশ্চয়তা পাচ্ছি না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন না হলে কেন্দ্রের বরাদ্দের টাকা খরচের এখতিয়ার কারও নেই। টাকা চালানের মাধ্যমে রাজস্বে জমা দিতে হয়।’