মির্জাপুরের হেনা আক্তার সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে প্রথম ও দেশসেরা ৫০ জনের ১ জন নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার ‘খ’ গ্রুপে হেনা আক্তার বিজয়ী হয়। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হেনা আক্তারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউএনও মো. হাফিজুর রহমান। এ ছাড়া বিজয়ীরা দুই বছর প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে বৃত্তি পাবে। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন এবং বাঁশতৈলের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফাইজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
হেনা আক্তার উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গাইরাবেতিল গ্রামের হুমায়ূন কবীরের মেয়ে। তার মায়ের নাম শিরিন বেগম। হেনা মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাইজুল হক জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। দুই গ্রুপের রচনা প্রতিযোগিতায় ১ লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ীরা জেলা পর্যায়ে এবং জেলা পর্যায়ে বিজয়ীরা বিভাগীয় এবং সবশেষ সারা দেশের মধ্যে মেধা যাচাই করা হয়। এতে তাঁর কলেজের শিক্ষার্থী হেনা আক্তার ‘খ’ গ্রুপে ঢাকা বিভাগে প্রথম ও সারা দেশে ৫০ জনের ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এটি বড়ই আনন্দের।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে পাঠানো ক্রেস্ট বিজয়ী ছাত্রীর হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে প্রথম ও সারা দেশে ৫০ জনের ১ জন নির্বাচিত হয়ে হেনা আক্তার মির্জাপুরকে তুলে ধরেছে।