পাওনাদারের টাকা শোধ করার জন্য ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন আবদুল্লাহ আল ফাহাদ। তবে ছিনতাইয়ের সময় চিনে ফেলায় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমকে হত্যা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এসব কথা জানান আসামিরা। মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. অলি উল্লাহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকালে আবুল কাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আবদুল্লাহ আল ফাহাদ (১৯), নজরুল ইসলাম (২৮), মো. সিরাজ (৬০), মীর হোসেন (২২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল ফাহাদের চাচার ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। আবদুল্লাহ আল ফাহাদ পুলিশকে জানান, তিনি জ্বালানি কাঠের (লাকড়ি) ব্যবসা করত। মিরসরাইয়ের একজনের কাছ থেকে তিনি ৩ হাজার টাকা বাকিতে লাকড়ি কেনেন। স্থানীয় একজনের কাছে তিনি লাকড়ি বাকিতে বিক্রি করেন। পাওনাদার টাকার জন্য তাঁকে চাপ দিতে থাকে। তিনি টাকার ব্যবস্থা না করতে পেরে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার একটি সেতুর ওপর ফাহাদ, সাজ্জাদ ও মীর হোসেন অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় একজন পথচারী আসতে দেখে তাঁর গতিরোধ করেন। এ সময় পথচারী আবুল কাশেম তাঁকে চিনে ফেলায় ছুরিকাঘাত করে খালের পাশে ফেলে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টায় কাশেমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। তাঁরা আটক হওয়ার পর জানতে পারেন আবুল কাশেম মারা গেছেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় মামলা করেন। রাতেই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।