করোনায় দুই বছর লোকসানের পর এবার আশার আলো দেখছেন নীলফামারীর ফুল ব্যবসায়ীরা। পয়লা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসের আগে রোববার সকাল থেকে ফুলের দোকানে বেড়ে গেছে বেচাবিক্রি। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ফুল নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। চাহিদা অনুযায়ী আগামী দুই দিনে আরও ১০ লাখ টাকার ফুল আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
জানা যায়, শহরে ২০টির মতো ফুলের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী ও সৈয়দপুর শহরে রয়েছে ১৪টি ফুলের দোকান। এসব দোকানে দেশি ও থাই গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও জারবেরা ফুল রয়েছে। গতকাল দুপুরে কয়েকটি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দেশি গোলাপ ৩০ টাকা, থাই গোলাপ ৫০, গ্লাডিওলাস ২০-২৫, রজনীগন্ধা ১৫, জারবেরা ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর শহরের পাপন ফুল বিতানের মালিক মবিনুল ইসলাম এ্যাপোলো জানান, শনিবার থেকে ফুল বিক্রি বেড়েছে। যশোর থেকে আনা ফুলের পাশাপাশি নিজের বাগানের ফুল রয়েছে তাঁর দোকানে। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারেও ফুলের দাম বেড়ে গেছে। পঞ্চগড় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে টিউলিপ ফুল। প্রতিটি টিউলিপ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর থেকে পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারিনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কম থাকায় এবারে ফুলের বেচাকেনা ভালো হতে পারে। ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ফুল মজুত করেছেন। জেলায় এবার ৪০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।’
শহরের পৌর মার্কেটে ফুল কিনতে আসা আনিছুর রহমান জানান, ‘৫০ টাকা দরে ৪টি থাই গোলাপ ও ১৫ টাকা দরে কিছু রজনীগন্ধা কিনেছি। সহধর্মিণী ও সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে আগাম কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সোমবার (আজ) এটির দাম আরও বেড়ে যাবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা হোমায়রা মণ্ডল জানান, নীলফামারীর মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। ইতিমধ্যে ফুল ব্যবসায়ী ও আগ্রহী চাষিদের নিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন ফুলের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। এরপর ক্ষুদ্র আকারে সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ফুল চাষ শুরু হয়েছে। ফুল চাষাবাদে উদ্যোক্তা তৈরিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে কৃষি বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।