জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফিরে পেতে সরকারি দপ্তরে ঘুরছেন সাইদ আকন। নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে তথ্য মুছে যাওয়ায় দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে সাইদের। বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নিতে পারেননি করোনা টিকা।
সাইদ আকন উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের চরকালেখান গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দীন আকনের ছেলে। তিনি ঢাকায় থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফিরে পেতে গত রোববার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সাইদ আকনের পরিচয়পত্রের তথ্য কেউ মুছে ফেলেনি দাবি করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য মুছে গেছে। তবে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সাইদ আকন জানান, দেশ ব্যাপী জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি সময় তিনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন। ওই পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন কাজও করেছেন। করোনা টিকা গ্রহণের পাঁচ-ছয় মাস আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে যান। ওই সময় তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে টিকা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন।
নিবন্ধনে ব্যর্থ হয়ে সাইদ আকন উপজেলা নির্বাচন দপ্তরে যোগাযোগ করেন। সেখানে কোনো তথ্য দিতে না পারায় তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে যান। নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয় সাইদ আকনের এনআইডির তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। তবে কী কারণে এবং কীভাবে এ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
সাইদ আকন আরও জানান, ব্যাংকে হিসাব খুলতে যাচাই করার সময়ও তার এনআইডি তথ্য পাননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে। এনআইডি তথ্য সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত না হলে ভবিষ্যতে কোনো কাজ কিংবা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরেক জনের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সাইদ আকনের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ায় এনআইডি তথ্য মুছে যেতে পারে। তিনি এনআইডি তথ্য ফিরে পেতে আবেদন করেছেন। আবেদনটি দ্রুত নির্বাচন কমিশনে পাঠানোসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’