ইসলাম পবিত্রতম জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং তিনি পবিত্রতা পছন্দ করেন। পবিত্রতা মানুষের তনুমনে তৃপ্তি দেয়, ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করে। ইসলামে পবিত্রতা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ, পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত অনেক মৌলিক ইবাদত পালন করা যায় না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা অর্জন করা ইমানের অর্ধেক’ অর্থাৎ, যারা পবিত্র তাদের ইমান পরিপূর্ণ, আর যারা পবিত্র নয়, তাদের ইমানও পরিপূর্ণ নয়।
পবিত্রতা সাধারণত দুই ধরনের। আত্মিক পবিত্রতা ও বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা। আত্মিক পবিত্রতা অর্জন করা যায় গুনাহমুক্ত হয়ে নেক আমলের মাধ্যমে। আর বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা যায় অজু-গোসলের মাধ্যমে। নিয়মিত নামাজ আদায় করলে আত্মিক-বাহ্যিক উভয়ভাবেই পবিত্র থাকা সম্ভব। কারণ, নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে হয়। অজুতে এমন অঙ্গগুলো ধোয়া ফরজ করা হয়েছে, যেগুলো সাধারণত প্রকাশমান। যেখানে ধুলাবালি লাগা স্বাভাবিক। দিনে পাঁচবার অজু করলে বাহ্যিক অঙ্গগুলো পরিষ্কার হয়।
পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা যখন নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নাও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মাসেহ করো এবং পা-গুলো টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো; আল্লাহ তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে ও তোমাদের ওপর স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা মায়েদা: ৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে অজু করে এবং সুন্দর করে তা সম্পন্ন করে, তার গুনাহগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচ থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (বুখারি)
মুনীরুল ইসলাম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম