যশোরের চৌগাছা-যশোর মহাসড়কে ইটভাটার ট্রলি থেকে পড়া মাটি শিশির ও বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। শুধু আঞ্চলিক মহাসড়ক নয়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফলে এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চালাতে এবং হেঁটে যাতায়াতকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে গত রোববার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটে বিভিন্ন সড়কে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চৌগাছা-যশোর মহাসড়কসহ চৌগাছা-মহেশপুর, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-পুড়াপাড়া, আফরা-সৈয়দপুরসহ বেশ কয়েকটি সড়কে রয়েছে অন্তত এক ডজন ইটভাটা। এসব ইটভাটায় মাটি বহনকারী ট্রাকগুলো থেকে মাটি পড়ে প্রতিটি ভাটার পাশের সড়কের এক থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তার ওপর মাটি পড়ে আছে। মাটি বহনের সময় মাটির ওপর ঢাকনা ব্যবহারের কড়াকড়ি আইন থাকলেও সেসব না মেনে ইটভাটার মালিকদের ভাড়া করা ট্রাক ও তাঁদের শ্রমিকেরা এভাবে মাটি ফেলে রাস্তা নষ্ট করেন। সামান্য বর্ষা হলেই অথবা শিশির পড়ে এই মাটি কাঁদা হয়ে চরম পিচ্ছিল অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটি বৃষ্টিতে কাঁদা হয়ে গড়িয়ে রাস্তার ওপর পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যায়। পিচ্ছিল এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিন ভ্যানসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচলকারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছেন।
স্থানীয়রা জানান, এসব ভাটার মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তাঁদের কিছু বলার সাহস পান না। আবার কেউ কিছু বললেই ভাটা মালিকদের রোষানলে পড়তে হয় তাঁদের। এমনকি ভাটা ও ট্রাক শ্রমিকদের কাছে নিগৃহীতও হতে হয়।
গত রোববার দুপুরের সামান্য বৃষ্টিতেই চৌগাছা-যশোর মহাসড়কে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অন্তত তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনায় পড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেন। একই অবস্থা উপজেলার কমলাপুর মোড়, পুড়াপাড়া বাজার, চৌগাছা-মহেশপুর ও চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কেরও।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান অ্যাডমিরাল বলেন, ‘সড়কের ওপরে পড়ে থাকা পিচ্ছিল কাদামাটিতে নিয়মিত দুর্ঘটনায় পড়ছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’