বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শংকর খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে বাঁশের মই দিয়ে সেতুটি পার হতে হচ্ছে। এতে ১০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শংকর খালের ওপর সেতু নির্মাণে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শরীফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দেড় বছর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেনি। যে কারণে এই ইউনিয়নের সোমাইপাড়, নাঘিরপাড়, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা ও আস্করসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে মই দিয়ে সেতু পার হতে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম জানান, সেতুর নির্মাণকাজ দেড় বছর আগে শেষ হলেও সংযোগ সড়কে মাটি দেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কারণে লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস বক্তিয়ার বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। আমরা এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে মই তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছি।’
কৃষক কমলেশ বাড়ৈ জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলে ভ্যান অথবা গাড়িতে করে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত যেকোনো ফসল ঘরে নিতে পারবেন।
বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ঠিকাদারকে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়নি। সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেই সেতু দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’
ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ জানান, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে এর এক পাশে একটি পুকুর রয়েছে। যার কারণে ওই পুকুর ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করতে অতিরিক্ত বরাদ্দের দরকার। এরই মধ্যে এলজিইডি বিভাগে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ‘সেতুটি সচল করতে ও দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সংযোগ সড়ক তৈরি হলে সেতুতে মানুষের যাতায়াতে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’