লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সৌদিপ্রবাসী ছেলের স্ত্রীর সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় শ্বশুরকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মামলার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন আসামি পুত্রবধূসহ অন্যরা বলে অভিযোগ করেছেন শ্বশুর মোস্তফা মিয়া।
তাঁদের ভয়ে বৃদ্ধ মোস্তফা মিয়া ও তাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগম নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণে বৃদ্ধ মোস্তফা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত ৮ বছর আগে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর রামগঞ্জ পৌরসভায় বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর ছেলে সৌদি আরবে চলে যান। এ সুযোগে পুত্রবধূ বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে।
মোস্তফা মিয়া আরও বলেন, এর জেরে গত ১৬ এপ্রিল রাতে কাঁচাবাজার আনা নিয়ে ও পারিবারিকভাবে ঝগড়া হয়। এই সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে আমার ওপর হামলা চালায় ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে পুত্রবধূসহ তাঁর পরিবারের লোকজন। পরে ঘরের স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় তাঁরা।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধু জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এ ঘটনায় তিনি রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। হামলা ও শ্বশুরকে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ওই গৃহবধুর বাবা মানিক হোসেন বলেন, ‘তাঁর মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় থানা, পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘সায়মা সুলতানার পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আদালতে কোনো মামলা হয়েছে কি না সে বিষয়টি জানা নেই।’