সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর মৃত্যু হয় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও ছেলে মাহিকুল ইসলামের। এ ঘটনায় ১১ দিন হাসপাতালের শয্যায় লড়াইয়ের পর মারা গেলেন রফিকুলের মেয়ে সামিরা ইসলামও।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ সামিরার মৃত্যুর খবর করেন। তিনি জানান, প্রথম থেকেই সামিরা কার্ডিয়াক অ্যাটাকে আক্রান্ত ছিলেন। ওই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্য। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৫০), ছোট ছেলে মাহিকুল ইসলাম (১৮), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হুছনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)। তাঁদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও ছেলে মাহিকুল ইসলাম মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্যদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মা-ছেলে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। কিন্তু ১১ দিনেও ফিরছিল না সামিরার জ্ঞান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যুক্তরাজ্য থেকে গত ১২ জুলাই তাঁরা দেশে ফেরেন। গত ১৮ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে ওই ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ভাড়া নিয়ে বাস করছিলেন। মূলত ছেলের চিকিৎসার সুবিধার্থে বাসা ভাড়া করে তাঁরা এখানে উঠেছিলেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুলাই রাতের খাবার শেষে রফিকুল স্ত্রী-সন্তানসহ একটি কক্ষে এবং তাঁর শ্বশুর আনফর আলসহ অন্যরা অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে বাসার সুস্থরা ডাকাডাকি করলেও রফিকুল ইসলামসহ স্ত্রী-সন্তানেরা ঘরের দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে তাঁদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।