Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল

শ্রেয়া ঘোষ

পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল

পড়াশোনা বুঝে করলে তুলনামূলক বেশি সুফল পাওয়া যায়। আর তা বোঝার জন্য দরকার বিশেষ মনোযোগ। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পড়ার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে মনোযোগের অভাব দেখা যায়। তাই এ সময় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখার পাঁচটি কৌশল তুলে ধরেছেন হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজেসের ডিনস স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শ্রেয়া ঘোষ

নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি
গবেষক লক ও লাথামের ‘গোল সিটিং’ নামের একটি তত্ত্ব আছে। তাতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট ও নির্দিষ্ট গোল তথা লক্ষ্যের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই একাডেমিক ক্ষেত্রে, কিংবা নতুন কোনো দক্ষতা শেখার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি এবং সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। পাশাপাশি বড় কোনো লক্ষ্যপূরণে আগে ছোট কিছু লক্ষ্য মেনে চলতে হবে। আপনি হয়তো জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে চান, সে জন্য অবশ্যই আগে জীববিজ্ঞান বই আয়ত্ত করতে হবে; আর জীববিজ্ঞান বই আয়ত্তের জন্য দরকার নিয়মিত অনুশীলন ও মক টেস্ট দেওয়া। 

নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি
নির্দিষ্ট কাঠামোতে পড়াশোনার সময়সূচি মেনে চলা শিক্ষার্থীদের উঁচু স্তরের একাডেমিক কর্মক্ষমতা বেশি হয়; পাশাপাশি অমনোযোগ ভাবও কম দেখা যায়। কাজেই পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখার জন্য নিজের জীবনধারা ও শেখার আগ্রহের বিষয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করুন। সেই সময়সূচিতে প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের স্লট বরাদ্দ করুন। কেবল স্লট বরাদ্দ করলেই চলবে না; সঠিক সময়ের মধ্যে সেই স্লট শেষ করার চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি বিরতি নিতেও ভুলবেন না। সাময়িক বিরতি আপনাকে নতুন উদ্যমে পরের স্লটের কাজ শুরু করতে সহায়তা করবে।

অভ্যন্তরীণ প্রেরণা খুঁজে বের করুন
গবেষক রায়ান ও ডেসির ‘স্ব-নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব’ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ প্রেরণার গুরুত্ব অনেক বেশি। দেখা যায়, অভ্যন্তরীণভাবে কেউ অনুপ্রাণিত হলে তাঁর মাঝে ভীষণ রকমের মনোযোগ তৈরি হয়। তাই পড়াশোনায় মনোযোগ তৈরির জন্য নিজের ভেতর থেকে ব্যক্তিগত কিছু প্রেরণা খুঁজে বের করুন।

পরিকল্পনা
গবেষক গলউইতজার ও শিরানের ‘ইমপ্লিমেন্টেশন ইনটেনশন অ্যান্ড গোল অ্যাচিভমেন্ট’ নামে একটি গবেষণা আছে। গবেষণায় ব্যক্তিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পড়াশোনায় মনোযোগ তৈরি বা ধরে রাখার ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী পড়ুন, যা আগ্রহ ও অধ্যবসায় বাড়াতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া
জীবনে সবাই কম-বেশি খারাপ সময় পার করে। খারাপ সময়ে নিজের প্রতি সদয় থাকা খুব জরুরি। নইলে পড়াশোনাসহ যেকোনো কাজে মনোযোগের ক্ষেত্রে একধরনের বিচ্ছেদ তৈরি হয়। কাজেই আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে নিজের যত্ন করুন। নিজেকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েও মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব। গবেষক নেফের ‘সেলফ কমপ্যাশন’ গবেষণায় দেখা যায়, নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হলে চাপ কমে যায়, যা আমাদের দায়িত্ব পূরণে সহায়তা করে; পাশাপাশি মনোযোগ ধরে রাখার জন্যও সুযোগ তৈরি করে দেয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ