Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জমে উঠেছে প্রচার কার্যক্রম

মির্জাপুর প্রতিনিধি

জমে উঠেছে প্রচার কার্যক্রম

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রচার। যদিও প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন সেই শুরু থেকে। সম্প্রতি মাঠে নেমেছেন বাকিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আবার একে ওপরের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন নানা অভিযোগ।

এ উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টিও জহিরুল হক জহির (লাঙল), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব, চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটর গাড়ি)।

এদিকে প্রচার মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি) ও বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরীকে (হাতুড়ি) প্রতীকে মাঠে দেখা গেলেও ডাব প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরীকে প্রচার কর্মকাণ্ড লক্ষ করা যায়নি। তবে তবে তিনি ফেসবুকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে উদ্দেশ্য করে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

ইতিমধ্যে প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তাঁরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠক, পথসভা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

প্রচারের অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে মির্জাপুর সরকারি একে পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির শুরু থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার একাধিক এলাকায় পথসভার পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার চালাচ্ছেন।

গতকাল রোববার ও গত শনিবার উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভাবখন্ড, মাঝালিয়া এলাকায় একাধিক পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ছিবার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন বাদশা, উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি প্রমুখ। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ব্যক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু গত শনিবার বিকেলে নিজ ইউনিয়ন ফতেপুরের এক টাকার বাজার এলাকায় নির্বাচনী সভা করেন। এ সময় তাঁর নিজ গ্রাম হিলড়াসহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার উপজেলার তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের একাধিক স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির অভিযোগ করে বলেন, প্রচারে অংশ নেওয়ায় তাঁদের কর্মী-সমর্থদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত আছি। নির্বাচনের পরিবেশ বেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রয়েছে। আশা করি, জনগণের ভোটে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হব।’

জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনি কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আমাদের কাছে দেননি। ভোটের পরিবেশ বেশ ভালো রয়েছে। এ ছাড়া গতকাল রোববার থেকে ইভিএম নিয়ে ২ হাজার ৩৮৯ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে যা ১২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আশা করছি, একটি সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ