মনিরামপুরে ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফার সংঘর্ষে দলের দুই পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে আটজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন জামির হোসেন, আরিফ হোসেন, ইমরান হোসেন, সাদমান আল সাজিদ, এজাজুল, মামুন হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও হোসেন আলী। আহতরা সবাই থানা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছার অনুসারী।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানা বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভেঙে ৪০-৫০টি চেয়ার, ফ্যান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহীদ ইকবাল হোসেনের সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেলোয়াবাড়ি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে কমিটি গঠন করে ফেরার পথে আমাদের পক্ষের জামির হোসেন হামলার শিকার হন। তাঁকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন একটি পক্ষ। রাতেই আহত কর্মীকে বাজারের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে দেখতে এসে হামলার শিকার হন আরিফ হোসেন।’
এদিকে থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে প্রথমে আমাদের এক নারী কর্মীর ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে আমাদের আরও তিনজন হামলার শিকার হন। এরপর রাত ১২টার মধ্যে আমাদের পক্ষের এজাজ, মামুন ও হোসেনসহ ৫ জনকে মারধর করে প্রতিপক্ষ।’
আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুরে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমঝোতার কথা বলা হয়। এ কথার ঠিক আধা ঘণ্টা পর আমাদের ফরহাদ নামে এক কর্মীকে মাথা ফাটিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। তারপর তাঁদের দুজন হামলার শিকার হয়েছেন।’
মনিরামপুর থানার ওসি নূর-ই-আলম সিদ্দীকি জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাননি।