জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন নির্যাতনের অপমান সইতে না পেরে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে। এ মামলার পলাতক প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে (৪০) গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রফিকুল ইসলাম স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার মামলার প্রধান আসামি।
১৮ নভেম্বর স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করার পর থেকে রফিকুল পলাতক ছিলেন। তাঁর বাড়ি ক্ষেতলালের বাঘাপাড়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম স্থানীয় বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য। গ্রামের অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম এবং বড়তারা গ্রামের শাহিনুরের বিরুদ্ধে ৮ নভেম্বর ক্ষেতলাল থানায় যৌন নির্যাতনের মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। মামলার পর আসামিদের হুমকি ও অপমান সইতে না পেরে ১৮ নভেম্বর ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় ১৯ নভেম্বর রফিকুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমানসহ পাঁচজনকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় আরও একটি মামলা করেন ছাত্রীর বাবা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারুল আলম বলেন, ‘আসামি রফিকুল ইসলাম ওই স্কুলছাত্রীকে এক বছর থেকে বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতন চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গতকাল তাঁকে জয়পুরহাট মুখ্যবিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় শাহিনুর নামের অপর আসামিসহ আরও দুজন পলাতক আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।