Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ভোটারের বাড়ি বাড়ি প্রার্থীরা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

ভোটারের বাড়ি বাড়ি প্রার্থীরা

ভোলার লালমোহনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নির্বাচনী নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চান প্রার্থীরা। সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য করার আশ্বাস দিচ্ছেন।

এ দিকে শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার কালমা ও রমাগঞ্জ ইউপিতে ভোট ১৫ জুন। এই দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১০ জনসহ মোট ১১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রমাগঞ্জ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫, সদস্য পদে ৩৮ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮ জন লড়ছেন। অন্যদিকে কালমা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫, সদস্য পদে ৩৮ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই ইউনিয়নে মোট ভোটার ৪৭ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে কালমা ইউনিয়নে ২৯ হাজার এবং রমাগঞ্জ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৬০০ জন।

নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা শুরু করেছেন গণসংযোগ, উঠান বৈঠক। ঘুরছেন বাজার–ঘাটে। কথা বলছেন ভোটারদের সঙ্গে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

উপজেলার কালমা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. ছাদেক সরদার বলেন, ‘রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গঠনে টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট চাচ্ছি। ভোট পেতে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে।’

রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্রার্থী আলী আহমেদ বলেন, ‘আমি একটানা ৪ বার ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ সময় কালভার্ট, রাস্তা, মসজিদ-মন্দিরসহ উন্নয়নের কাজ করেছি।’

৭,৮, ৯ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাম্মদ মুক্তা বেগম হেলিকপ্টার প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরছেন। তিনি বলেন, ‘সমাজে পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত নারীদের জন্য কাজ করব, যাতে তাঁরা এগিয়ে যেতে পারেন।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমির খসরু গাজী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধির মেনে চলেন, সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

সদ্য বহিষ্কৃত রমাগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোসলেউদ্দিন লিটন বলেন, ‘প্রতীক পেয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। গত দশ বছর ইউপি সদস্য ছিলাম। জনগণের বিপদ আপদে পাশে থেকে কাজ করেছি। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি মানুষের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি, সাহায্য করেছি। ভোটে জয়ী হলে মাদক, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করব।’

কালমা ইউপিতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের জানান, ‘এখন কিছুই বলা যাবে না। এখন নির্বাচনের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত আছি।’

রমাগঞ্জ ইউপির নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। মানুষের পাশে ছিলাম। নির্বাচনে বিজয়ী হলে সবার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ