যশোর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার অযোগ্য হচ্ছেন ৪৩ পরীক্ষক। এর মধ্যে এইচএসসির ২৪ জন ও এসএসসির ১৯ জন পরীক্ষক রয়েছেন। পরীক্ষা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী এ পরীক্ষকেরা দুই বছর খাতা দেখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ জন পরীক্ষার্থী। এঁদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৪ জনের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। এতে ফেল করা ২১ শিক্ষার্থী পাস করে। ১৪ জন বিভিন্ন গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পান।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার খাতায় যে ভুল ধরা পড়ে সেটা হচ্ছে নম্বরের বৃত্ত ভরাটে ভুল। এ ভুলের কারণে পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া থেকে বাদ পড়ে। পরে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের সময় ভুলগুলো ধরা পড়ে। এর আগে ১৯ জন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখায় ভুল করেন। এসব পরীক্ষককে দুই বছর খাতা দেখা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘ভুল হতেই পারে। এবার অল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য খাতা দেখতে হয়েছে, তাই বলে এমন ভুল হয়েছে। বোর্ড থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বলার কিছু নেই। পরবর্তীতে খাতা দেখার সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা দেখায় ভুল করা হলে পরীক্ষকদের কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। পরীক্ষা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, এ ৪৩ জন শিক্ষককে দুই বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা খাতা দেখা থেকে নিষিদ্ধ রাখা হবে।’