পিরোজপুরের নেছারাবাদে দলবল নিয়ে একজনকে কুপিয়ে ও তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোহাগ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে যাঁদের আহত করেন উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
জানা যায়, পূর্ববিরোধের জেরে গত সোমবার রাতে সোগদল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্রামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির সামনে সড়কে সোহাগ মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১১ জনের একটি দল এই হামলা চালায়। এ সময় রামদার কোপে জাহারুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। এ ছাড়া শহীদুল, জাহারুল এবং সাগরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এদের মধ্যে জাহারুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাহারুল ইসলামের ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে ও দুই-তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে নেছারাবাদ থানায় মামলা করেছেন।
বাদীর করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোহাগের সঙ্গে ওই এলাকার বিভিন্ন পরিবারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার সময় এ রকম এক পরিবারের সদস্য সাগর বাড়ি থেকে দোকানে যাচ্ছিলেন।
বাবুল চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের সড়কে সোহাগ ও তাঁর সহযোগীরা এসে সাগরকে মারধর শুরু করেন। এতে সাগরের হাত ভেঙে যায়। সাগরের চিৎকারে বাদীসহ অন্যরা ছুটে আসেন। এ সময় সোহাগ তাঁর হাতে থাকা রামদা দিয়ে জাহারুল ইসলামকে কোপ দেন।
নেছারাবাদ থানার ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোহাগ নিজে ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো থানায় এসে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তাঁকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের পর মামলা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।