পঞ্চম ধাপে ডোমার উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের পক্ষে ভোট চান প্রার্থীরা। উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও বাজার পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপে ডোমার উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৫৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১২৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৩৪৫ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০ ইউনিয়নে ৯০ হাজার ৮১৯ জন পুরুষ ভোটার ও ৮৭ হাজার ৯১২ জন নারীসহ মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৩১ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থীরা নিজের পক্ষে ভোট নিতে জনপ্রিয় বাংলা গান দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। বড় বড় কৃত্রিম প্রতীক নৌকা, আনারস, চশমা ও মোটরসাইকেল তৈরি করে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ও হাটবাজারগুলোতে প্রদর্শন করেন। হাটবাজার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ও বাসাবাড়ির সামনে পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
পথসভা ও উঠান বৈঠকগুলোতে সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। তবে ভোটারদের অভিযোগ, সভাগুলোতে প্রার্থীরা নিজের প্রশংসার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।
ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বড় মসজিদ পাড়া এলাকার নতুন ভোটার সিরাজ ইসলাম (২১) বলেন, ‘এবার প্রথম ভোট দেব। আগে জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলে তাঁরা আমাকে পাত্তাই দিতেন না। আর এখন তাঁরাই আমার কাছে বারবার এসে ভোট চাইছেন। এখন দেখছি একটা ভোটের অনেক দাম। তবে ভোট শেষ হলে জনপ্রতিনিধিরা তো পাত্তা দেন না।’
পাঙ্গামটুকপুর এলাকার তপু ইসলাম (৩০) বলেন, ‘প্রার্থীরা উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন। এটা খুব ভালো লাগছে। তবে পথসভা ও বৈঠকগুলোতে একে অপরের নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। এটা মোটেই উচিত নয়। এভাবে যেকোনো সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।’
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের প্রচার চলছে। আমার কাছে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেননি। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’