দাউদকান্দিতে গাড়িচালক মো. ফাইজুল হক সরদার (৩৫) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার তাঁদের গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাড়ি ছিনতাই করতেই ফাইজুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর উপজেলার বলদাখাল-শ্রীরায়েরচর সড়কের লামচুরী এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফেসবুকে যুবকের লাশের ছবি দেখে গত রোববার নিহতের বড় ভাই আসাদুল সরদার দাউদকান্দি মডেল থানায় এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহত ফাইজুল বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়কোঠা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি প্রাইভেটকারচালক ছিলেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন গাজীপুর জেলার গাছা থানার দক্ষিণ কলমেশ্চর গ্রামের ইয়াছিন মোল্লা আকাশ (২০), একই জেলা ও থানার উত্তর খাইলকুর বটতলা গ্রামের মো. তানভির আহমেদ হিমেল (২১), শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানার চর শ্রীপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম (১৮), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার হাবিবপুর গ্রামের আকরাম হাসান সানি (২৮), টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার ঘাইটাল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়া (৩৪)।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফাইজুলের গাড়ি ঢাকা থেকে চাঁপুরের যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করেন অভিযুক্তরা। পরে দাউদকান্দির লামচুরী এলাকায় এসে ফাইজুলকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয় পুলিশ।
পরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার গাজীপুরের বুটবাজার এলাকা থেকে ইয়াছিন মোল্লা ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে মডেল থানা-পুলিশ।
এরপর উপপরিদর্শক জিয়াউল রহমান ও উপসহকারী পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ইয়াছিন মোল্লার দেওয়া তথ্যমতে গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম, মো. তানভির আহম্মেদ হিমেল, আকরাম হোসেন সানি, মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত ফাইজুল ঢাকার মগবাজারে বসবাস করতেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।