আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও চিকিৎসকদের ভবনের অবস্থাও ভালো নয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ওই জরাজীর্ণ ভবনে বাস করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ১৯৮৬ সালে এই আবাসিক ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দ্বিতল ভবনটিতে চারটি পরিবার বাস করছিল। তবে দুটি পরিবার দুর্ঘটনার ভয়ে বাসা ছেড়েছেন। তার ওপর সম্প্রতি ভবনের বিভিন্ন স্থানের দেয়াল ফেটে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ভবনের ছাদ থেকে পানি পরে ঘরের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ওই ভবনে বাস করা হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আলী হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে বিপদ মাথায় করে এখানে বাস করছি। মাঝখানে ছাদের অংশ ধসে পড়ে একটি খাট ভেঙে গেছে।
এদিকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ভবনে থাকা ল্যাব টেকনিশিয়ান জাকির হোসেন ও শাহিন মৃধা জানান তাঁদের আবাসিক ভবনটির অবস্থাও ভালো নয়। এই দুটো ভবনের পাশাপাশি চিকিৎসকদের আবাসিক ভবনও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ভবনগুলো এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভালো কোনো আবাসিক ভবন না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এগুলোতে পরিবার নিয়ে থাকছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে।