দীর্ঘ ২০ বছর একই ‘চোথা’ পড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহান’ শিক্ষকেরা। সেই চোথা পড়াতে পড়াতে লাল হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে কথা বললে নম্বর কম দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলা অবান্তর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে এ ধরনের মন্তব্য উঠে এলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদে প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর একই “চোথা” পড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের “মহান” শিক্ষকেরা। সেই চোথা পড়াতে পড়াতে লাল হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে কথা বললে নম্বর কম দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলা অবান্তর।’
মানববন্ধনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অধিকাংশ বৈধ শিক্ষার্থী সিট পাচ্ছেন না। আবার যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদের বড় অঙ্কের চাঁদা দিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা অধিকারবঞ্চিত হচ্ছেন।
সালেহ্ হাসান নকীব আরও বলেন, ‘ইদানীং বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় আত্মীয়তা, আঞ্চলিকতা ও রাজনৈতিক বিবেচনায়, সেখানে কিসের র্যাঙ্কিং? চেতনার কথা বলে এসব অনিয়ম করা হচ্ছে, যা মূলত চেতনারই অবমাননা।’
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, সাংবাদিক জামাল কাদরী, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর প্রমুখ।