ধনবাড়ী পৌর শহর বাজার এলাকার ফুটপাত দখল করে বসেছে ব্যবসার পসরা। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীতে ভরে গেছে রাস্তার দুপাশ। চলতে গেলে একে অপরের সঙ্গে লাগে ধাক্কা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা এমন সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরোনো সোনালী ব্যাংক সড়ক থেকে কিচেন মার্কেট হয়ে দরজি পট্টি, ফল হাটি, গুড় হাটি এমনকি পৌর এলাকার প্রধান সড়কের দুপাশ এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। এসব জায়গায় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রেখে চলছে বেচাকেনা। যেকোনো সময়ে বাজারের মধ্যে ট্রাক রেখে খালাস করা হচ্ছে মালামাল। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। ফুটপাতে হাঁটতে পারছেন না পথচারীরা। ফলে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের পাশাপাশি সাইকেল, মোটরসাইকেল ও রিকশা-ভ্যান নিয়ে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাজারের ভেতরে রয়েছে চিকিৎসকের চেম্বার। সেখানে সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না জরুরি রোগী। এ সড়কে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরাও সময়মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করছে পারছে না।
এ পরিস্থিতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান পথচারীরা ও ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ব্যবসা করছেন তাঁরা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন এ বিষয়ে কখনো কিছু বলেনি তাঁদের।
বাজার করতে আসা মালেক হোসেন, আরিফ মিয়া ও নাজনিন বেগম বলেন, বাজারে আসা অনেক কষ্টকর। ব্যবসায়ীরা দিন-দিন সড়কটাই দখল করে নিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা এগুলো দেখেও দেখে না। এতে সবাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জনগণের সুবিধার্থে এগুলো উচ্ছেদ করে চলাচলের জন্য উপযোগী করা হোক।
ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন বলেন, জায়গা ভাড়া নিয়েছি এ জন্য আমার সুবিধামতো ব্যবসা করছি।
আবু তাহের বলেন, অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব। কিন্তু যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামনে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল নামানো হচ্ছে।
ধনবাড়ী মডেল কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী গৌরাঙ্গ সূত্রধর ও ধনবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলেন, বাজার রোড হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। রাস্তার দুপাশের ব্যবসায়ীরা সড়ক দখল করে ব্যবসা করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জমান বকল বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে নোটিশ ও মাইকিং করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক বলেন, এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সহযোগিতা চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।