হঠাৎ করেই বেসামাল হয়ে পড়েছে কাঁচাবাজার। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। সবে চেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হয়েছে পেঁয়াজের ক্রেতাদের। সবজির ক্ষেত্রে সবকিছুর বিকল্প থাকলেও পেঁয়াজ রান্নার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ফলে বাধ্য হয়েই যত দাম দিয়েই হোক সেই বাড়তি টাকাতেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাঁদের।
গতকাল শুক্রবার যশোরের ঝিকরগাছা ও বাঘারপাড়ার বাজার ঘুরে এমন তথ্য পেয়েছেন পাওয়া গেছে।
ঝিকরগাছা: ঝিকরগাছা বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন কমেনি। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বাজারে আসা চায়না গাজর বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে ৩০০ টাকা কেজি।
বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি। অথচ, চার দিন আগেও এর দাম ছিল ৪০ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা কেজি যা আগে ছিল ৩০ টাকা করে।
বাজারে কথা হয় সামছুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। তারপর পেঁয়াজের দাম যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। চার দিন আগে যে পেঁয়াজ ৪০ টাকায় কিনেছি তা, আজ ৮৫ টাকায় কিনলাম।’
বাজারের কাপুড়িয়া পট্টির মুখের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেমন কিনি তেমন বিক্রি করি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮৫ টাকা করে। গাজর বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। চায়না গাজর যশোরের মোকাম থেকে ২২০ টাকার ওপরে কেজি কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহনসহ নানান খরচ রয়েছে। ফলে এমন বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাঘারপাড়া: বাঘারপাড়াতেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। শুক্রবার সকালে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। সাত দিন আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম শুক্রবারে ছিল ১০০ টাকা।