‘লাগবে নৌকা, হাতপাখা, আনারস, ঘোড়া? আমাদের কাছে আসুন, আপনার যে মার্কা দরকার, সেটাই পাবেন। যেকোনো মার্কা মাত্র ৫ টাকা।’
এভাবে বিভিন্ন প্রতীক সংবলিত লেমিনেটেড স্টিকারের ভ্রাম্যমাণ দোকানি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সাইদুল ইসলাম নামের একজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেস থেকে বিভিন্ন দলের মার্কা ও মেম্বারদের মার্কাওয়ালা ছবি ছাপিয়ে তা ফেরি করে বিক্রি করি। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নেই, কোন কোন এলাকায় ভোট। তারপর সেখানে প্রতীক বরাদ্দ বা নির্বাচনের দিন ৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করি প্রতিটি স্টিকার। বেচাবিক্রিও খারাপ না। লেমিনেশন করতে খরচ হয় বেশি। না হলে আরেকটু বেশি লাভ হতো।’
চেয়ারম্যান পদে প্রতীক নিতে আসা ভোলাকোট ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, ‘আমি প্রতীক পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে শতাধিক চশমা প্রতীকের স্টিকার নিয়েছি। প্রতিটি স্টিকার ১৫ টাকা করে পড়েছে।’
একই ইউনিয়নের (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী আয়েশা আক্তার মিনু বলেন, ‘আমার প্রতীক হেলিকপ্টার। বেশ কিছু স্টিকার কিনেছি। ভালোই হলো। কম্পিউটার দোকানে গিয়ে এসব প্রিন্ট করতে ঝামেলায় পড়তে হয়। দাম একটু বেশিই নিলেও কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রতীক হাতে পেলাম।’
করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক ছলিম উল্যাহ বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকেরাও আনারস প্রতীকের কিছু স্টিকার কিনেছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনের দোকানগুলো থেকে। আমার প্রতীক চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী-সমর্থকেরা তা গলায় দিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। এত দ্রুত তারা আমার প্রতীকের স্টিকার গলায় দিয়ে স্বাগত জানানোয় কিছুটা অবাক হয়েছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘এসব বিক্রিতে আইনগত কোনো বিধিনিষেধ থাকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। দেখলাম প্রার্থী ও তাঁর লোকজনও খুশি।’