খেজুর শুল্কায়নের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রেফারেন্স ভ্যালু (আমদানিমূল্য) দ্বিগুণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে চার দিন ধরে পণ্যটির শুল্কায়ন বন্ধ রয়েছে। ফলে খেজুর খালাসে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বন্দরে। সেখানে আটকে রয়েছে রোজায় বিক্রির জন্য আনা দুই শতাধিক কন্টেইনার খেজুর।
চার দিন ধরে খেজুর শুল্কায় না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমসের শুল্কায়ন গ্রুপ-১/(এ)-এর রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্তে খেজুরের রেফারেন্স ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। ভ্যালু বাড়ানো পর গত বুধবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খেজুর আমদানির বিল অব এন্ট্রি শুল্কায়ন করেননি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে কাটুনে আনা খেজুরের ভ্যালু প্রতি কেজি ১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২ ডলার ৫০ সেন্ট এবং বস্তায় আনা খেজুর ৫০ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ১ ডলার ২৫ সেন্ট করা হয়েছে। এরপর থেকে খেজুরের শুল্কায়ন বন্ধ রাখেন আমদানিকারকেরা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফুড ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩ হাজার টন খেজুর চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে। আরও খেজুর আমদানি পাইপলাইনে রয়েছে। আমরা প্রতিটন ৯৪০-৯৫০ ডলার দামে ইরাকি খেজুর আমদানি করি। বুধবার থেকে হঠাৎ ভ্যালু বাড়িয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছি। দামি খেজুরের জন্য দেশওয়াইজ আলাদা মূল্য নির্ধারণ করা হোক।’
খেজুরের আমদানির শুল্ক হার আড়াই কেজির কম ওজনের প্যাকেট ২৫ শতাংশ এবং আড়াই কেজির বেশি ওজনের বস্তা বা কাটুন ১০ শতাংশ হারে বিদ্যমান রয়েছে।