শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই ওসমান গণি ভোট দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি। চলনশক্তি হারানো মোছা. বেগমও ভয়ে ভয়ে ভোট দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। জীবনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিয়ে উৎসবে শামিল হলেন তাঁরাও।
মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা হয় ৯৮ বছর বয়সী ওসমান গনির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাব্বা, আঙুলের ছোঁয়া দিতেই আমার ছবি ভাইসা আইলো। অবাক অইয়া ফটো দেখলাম। এর মধ্যেই আমার ভোট দেওয়ার মেশিন রেডি। স্যারে কইলো, ভিতরে যান, ভোট দেন। এক আনসারের সঙ্গে গেলাম বেড়া দেওয়া ঘরে। দেহি তিনটা মেশিন। ওই মেশিনেও আঙুল দিয়া টিপা টিপা পছন্দের মার্কায় ভোট দিলাম। জীবনে পরথম মেশিনে ভোট দেওয়ার কথা কইয়া বুঝাবার পারুম না।’
এদিকে পিরোজপুর নুরানী মাদ্রাসাকেন্দ্রে স্বামীর সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন চলনশক্তি হারানো মোছা. বেগম। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরতদের সহযোগিতায় ভোট দিতে পরে তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, ‘নতুন সিস্টেমে ভোট দিলাম।’
শুধু ওসমান গনি কিংবা মোছা. বেগমই নন, তাঁদের মতো অধিকাংশ ভোটার নতুন এ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রায় সব কেন্দ্রেই নিরাপদে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তবে দু-একটি কেন্দ্রে ইভিএমে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে।