শিশুর ডায়রিয়া প্রতিরোধে খুবই কার্যকর একটি ভ্যাকসিন (টিকা) রোটারিক্স। কিন্তু গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ ছাড়ার পর রোটা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় দেশের বাজারে। এর পর থেকেই দেখা দেয় সংকট। বর্তমানে এ সংকট তীব্র হয়েছে।
জিএসকে চলে যাওয়ার পর রোটারিক্স সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অন্য একটি ভ্যাকসিন বাজারজাত করত দেশীয় ওষুধ কোম্পানি হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। রোটাটেক নামের এই ভ্যাকসিন আমদানির জন্য একটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে হেলথকেয়ারের। কিন্তু ওই কোম্পানি চীনে বিপুলসংখ্যক ভ্যাকসিন রপ্তানি করায় বর্তমানে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ফলে রোটারিক্সের পর রোটাটেক সরবরাহ বন্ধ রয়েছে দেশে।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না।
রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংকটের বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস যাতে বাজারে দ্রুত সরবরাহ দিতে পারে, সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ হালিমুজ্জামান বলেন, ‘আমেরিকার একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমরা রোটাটেক ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করতে পারি। কিন্তু চার বছর ধরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি রোটাটেক ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ২০২৩ সালের আগে তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না।’
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ চলছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে ৪২ হাজার ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীর ২০ শতাংশই শিশু।