নীলফামারীর ডোমারে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়াতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার আরও বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় সন্তোষজনক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারি প্রণোদনায় ৮০০ বিঘা জমির সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এখানে বারী-১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা বেশি চাষ হয়। বপন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত সময় লাগে ৮০ থেকে ৮৫ দিন। ভালো ফলনে প্রতি একরে ১২ থেকে ১৫ মণ সরিষা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া বারী-১৭ জাতের সরিষার ফলনও বেশি হয়। এ জাতের সরিষা প্রতি একরে ২০ থেকে ২২ মণ পর্যন্ত হয়। সময় লাগে ৮৫ থেকে ৯০ দিন। গত বছর থেকে বারী-১৭ সরিষা চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। সময় কয়েক দিন বেশি লাগায় কৃষকেরা এ জাতের সরিষা কম চাষ করেন। গত বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এবারে তার চেয়ে ৬৫ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করা হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর বেশি।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চাষি শরিফুল ইসলাম, অনাথ চন্দ্র রায়, হৃদয় চন্দ্র রায় ও ছফিজল ইসলাম জানান, আমন ঘরে তোলার পর ইরি ধান আবাদ করার মৌসুম পর্যন্ত প্রায় তিন মাস জমিগুলো পতিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কোনো আবাদ করা হয় না। আবাদি জমিগুলো পতিত না রেখে, আমন ধান কাটার পরপরই স্বল্প চাষে সরিষা লাগানো হয়। ইরি ধানের রোয়া রোপণের আগেই সরিষা ঘরে তোলা যায়। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা লাভ করা যায়। এ ছাড়া সরিষা চাষের জমিতে ধানের ভালো ফলন হয়।
কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, সরিষা পাতা ও ফুল পড়ে জমিগুলোর উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান বলেন, ‘ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষাগাছ সবল হয়েছে। আশা করছি, এবারে উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে।’