নাটোরের সিংড়ায় নাগর নদের ভাঙনে তাজপুর পাকা সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ সড়কটির প্রায় ২০০ মিটার নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ভাঙনে যেকোনো মুহূর্তে ছোট-বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার তাজপুর সেতুসংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার পাকা সড়ক নাগর নদে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সড়কের এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় হাজারো যানবাহন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনে টানা বর্ষণ ও নাগর নদের পানির তোড়ে তাজপুর সেতুসংলগ্ন পাকা সড়কের প্রায় ২০০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। পরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে ভাঙা অংশে প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে সড়কটি সাময়িক সময়ের জন্য রক্ষা করা গেলেও পরবর্তী সময়ে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে তাজপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী আত্রাই উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করেন। দীর্ঘ দিন সড়কটির এক পাশ ভেঙে নদীতে বিলীন হতে চলেছে। এতে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ও চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। একবার যদি ভারী বর্ষণ শুরু হয় তাহলে সড়কটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অটোরিকশার চালক লিটন আলী বলেন, তিনি প্রতিদিন এই রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালান। মাঝেমধ্যে রাতে বাড়ি ফিরতে হলে তাঁকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
ভটভটিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন মালামাল নিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কের মাটি ধসে যাওয়ায় পথটি সরু হয়ে গেছে। কোনো রকমে ঝুঁকি নিয়ে যানগুলো চলাচল করে। এ ছাড়া রাতের আঁধারে নদীতে পড়ে যায় যানবাহন। এসব ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন।
তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আশা করছেন, বর্ষার আগেই ভাঙা অংশ মেরামত করা হবে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মকলেছুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যেই মেরামত করা হবে।