গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। গতকাল রোববার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।
বিইআরসির কারিগরি কমিটির এই সুপারিশ কার্যকর হলে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ১০ পয়সা বাড়বে। বর্তমানে প্রতি ইউনিটের দাম ৭ দশমিক ১৩ টাকা। গতকাল শুনানিতে অংশ নিয়ে মেট্রোরেল ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সংস্থা দুটির জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি করেছেন।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহীসহ সদস্য, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞের ম তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিইআরসি যে হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে উৎপাদন খাতে ব্যয় বাড়বে। এর কুফল ভোগ করবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত গ্রাহক ও ভক্তরা। আমার মনে হয়, বিদ্যুতের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে।’
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া হিসেবে গত ২১ নভেম্বর বিইআরসি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ দাম বাড়ায়, যা কার্যকর হয় গত ১ ডিসেম্বর।
এই দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি কিলোওয়াট ট্যারিফ মূল্য দাঁড়িয়েছে গড়ে ৭ দশমিক ৫৬ টাকা, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৬ দশমিক ৬৫ টাকা, ডিপিডিসির ৮ দশমিক ০৮ টাকা, ডেসকোর ৮ দশমিক ১ টাকা, ওজোপাডিকোর ৭ দশমিক ৩৫ টাকা এবং নেসকোর ৭ দশমিক ০৬ টাকা।
এর আগে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। তখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সরবরাহের দাম ৫ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও পাইকারি দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার।