খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডিসহ স্মার্টকার্ড দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনতে ও সেবা সহজ করতে আর্থিক বিধি-বিধানের মধ্যে থেকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নথি নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে মানুষ উত্তম সেবা প্রত্যাশা করে। কেউ যাতে এমন প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট কাজ সফটওয়্যার ভিত্তিক হওয়ায় সুবিধা হয়েছে। তবে এ বিভাগের সব কাজ অটোমেশনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-নথি কার্যক্রমের বিষয় কর্তৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন পর্যায়ে যাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
তিনি বলেন, একক প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করা কঠিন, কিন্তু পারস্পরিক সমন্বয় ও টিমওয়ার্ক এবং টিম স্পিরিটে কাজ করলে সবক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন সহজ হয়। এ ক্ষেত্রে নিজের প্রচেষ্টা অবশ্যই থাকতে হবে। তিনি অর্থ বিভাগসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতার মূল্যায়ন করুন। উপাচার্য অর্থ ও হিসাব বিভাগের কয়েকটি সমস্যার সমাধানে নির্দেশনা দেন এবং আরও কয়েকটি বিষয়ে যথাসম্ভব শিগগির সমাধানের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।