মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় সিলেটে লেডি বাইকার নামে পরিচিত রিয়া রায়কে আগাম জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত। রিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আতোয়ার রহমানের বেঞ্চ তাঁকে আট সপ্তাহের জামিন দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন বিভুতি ভুষণ সরকার ও পূর্ণিমা জাহান। আদেশের পর সুমন বলেন, রিয়ার বয়স কম। সে বিবিএতে পড়ছে। আমি চাই সে যেন ন্যায় বিচার পায়। সে যেন ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়। আট সপ্তাহ পর তাকে বিচারিক আদালতে হাজির হতে হবে। আর রিয়া রায় বলেন, ‘জামিন পাওয়ায় ভালো লাগছে। আমি চাই নিরপেক্ষ বিচার হোক।’
পুলিশের তথ্যমতে, সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মাদকসহ আটক হন রিয়ার প্রেমিক। ওই ঘটনায় ৮ নভেম্বর আরমান সামীকে প্রধান আসামি করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে সিলেট বিমানবন্দর থানা-পুলিশ। যাতে রিয়াকেও আসামি করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়া তরুণীদের মোটরসাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ করেন ভিডিও বার্তায়। নিজে টিকটক ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
১০ নভেম্বর সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, প্রেমিক আরমান সামিকে নিয়ে রিয়া সিলেটের এয়ারপোর্ট-সংলগ্ন এলাকায় যান। নীল রঙের একটি গাড়ি নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছিলেন তাঁরা। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান। আরমান সামীকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে সময় গাড়ি থেকে ৫০০ গ্রাম মদ, ১০টি ইয়াবা ও দুই প্যাকেট গাঁজাসহ সামীকে আটক করার পর তিনি জানান তাঁর সঙ্গে লেডি বাইকার রিয়াও ছিলেন। কৌশলে তিনি পালিয়ে গেছেন।