নওগাঁর বদলগাছীতে এনজিও (এ্যাসোপ) এর খামার আক্কেলপুর শাখার বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহকের দিনের পর দিন ঘুরেও তাঁদের জমানো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রনাহার গ্রামে প্রধান কার্যালয় দেখিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি (ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ) থেকে সনদ নিয়ে শুরু হয় এনজিওটির পথচলা।
এনজিওটির পরিধি বাড়াতে (এ্যাসোপ) এনজিওয়ের খামার আক্কেলপুর শাখা অফিস চালু করা হয়। এর পর থেকে এই এলাকার প্রায় ২০০ জন গ্রাহক ৩০ লাখের বেশি টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখেন। তবে কয়েক বছর ধরে গ্রাহকেরা টাকা ফেরত চাচ্ছেন। তাঁদের টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টায় টালবাহানার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোলা ইউনিয়নের কোলা খামার আক্কেলপুর শাখা অফিসে গত ৪ অক্টোবর এই শাখার গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন দায়িত্বরত শাহিন ইসলাম। কিন্তু গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা না দিয়ে অফিসের কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ম্যানেজার শাহিনসহ পাঁচজন মাঠকর্মীকে তিনটি মোটরসাইকেলসহ কোলা খামার আক্কেলপুর শাখা অফিসে তালাবদ্ধ করেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
ভান্ডারপুর গ্রামের মাধবী রাণী বলেন, ‘ছয় বছর আগে মাসে ২০০ করে ডিপিএসের টাকা বাড়ি গিয়ে উঠায়ে নিয়ে আসত এবং ৪ হাজার টাকা সঞ্চয় রাখেছিলাম। আমার সঞ্চয়ের টাকা ছয় বছর পরে ফেরত দিতে চেয়ে সঞ্চয়ের হিসাব বহি নিয়ে আসেন এ্যাসোপের কর্মী। এর পরে তাঁকে পাশ বহি বা জমাকৃত সঞ্চয় এবং ডিপিএসএর টাকা দিনের পর দিন অফিসে ঘুরেও ফেরত পাওয়া যায়নি।’
এ্যাসোপ এনজিও কোলা শাখার মাঠ কর্মী শাহিনুর ইসলাম, আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর ও নয়ন বলেন, ‘আমার করোনাকালে বেতন পাই না। তাই অফিসে আসা হয় না। আর প্রধান অফিস থেকে সঞ্চয়ের বা ডিপিএসের টাকা গ্রাহককে ফেরত না দিলে আমরা কোথা থেকে ফেরত দিব?’
ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এনজিও (এ্যাসোপ)-এর পরিচালক তানভীর হোসেন আগামী ২৪ অক্টোবর সকল গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠকর্মীদের ছাড়িয়ে নেন।’
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করে পরিচালক তানভির হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে ইউএনও আলপনা ইয়াসমিনের বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’