মানসিক রোগী লিটন মিয়া নিখোঁজ ছিলেন দীর্ঘ ১১ মাস। কোথাও তাঁর সন্ধান পায়নি পরিবার। তবে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর একদিন পর মিলে পরিচয়। দুদিন পর গত রোববার লিটনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মুরাদপুরে করা হয় দাফন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জোরারগঞ্জ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ৯৯৯ নম্বর ফোন করে বলেন, একজন ভবঘুরে মানসিক রোগী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে জোরারগঞ্জ থানার–পুলিশের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাত সাড়ে ১০টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোর তাঁর মৃত্যু হয়।
পরে পাঁচলাইশ থানা–পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। ময়নাতদন্তের পর হাতের ছাপ সিআইডিতে পাঠায়। এতে বেরিয়ে আসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয়।
ভোটার আইডি কার্ডে তাঁর নাম লিটন মিয়া। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মোচাগড়া গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মৃত জাফর আলী, মা মিনোয়ারা বেগম।
খবর পেয়ে ছোট ভাই সুমন মিয়া বড় ভাই লিটনের লাশ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
সুমন মিয়া বলেন, ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে লিটন মিয়া সবার বড়। ১৬ বছর আগে থেকে লিটনের (৩৭) মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এর পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভাই। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।