কেশবপুরে তিন মাস মেয়াদি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির আট বছর পেরিয়ে গেলেও গঠিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি। আগের কমিটির নেতা ও সদস্যদের ছাত্রজীবন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। এ ছাড়া নতুন নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর কাজী আজহারুল ইসলাম মানিককে আহ্বায়ক, হাবিবুর রহমান খান মুকুল, খন্দকার আবদুল আজিজ, পলাশ কুমার মল্লিক, কাজী মনিরুজ্জামান মুন্না ও জাকির হোসেন মুন্নাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি আট বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি, যে কারণে ছাত্রলীগের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
আহ্বায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবদুল আজিজ, পলাশ কুমার মল্লিক, কাজী মনিরুজ্জামান মুন্না ও জাকির হোসেন মুন্না বর্তমানে বিবাহিত। এর মধ্যে কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক ব্যবসায়ী, খন্দকার আবদুল আজিজ থাকেন ঢাকায়, পলাশ কুমার মল্লিক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, কাজী মনিরুজ্জামান মুন্না ব্যবসায়ী, জাকির হোসেন মুন্না চাকরিজীবী। অপর যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুল বিবিএ পাস করে এমবিএ অধ্যয়নরত।
কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কেরা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে সংকট। এ নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যেও রয়েছে ক্ষোভ। ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরাও রয়েছেন হতাশায়।
বর্তমানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান মুকুল বলেন, ‘নতুন কমিটি হলে দল শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত কেশবপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক বলেন, ‘আগামী কমিটিতে হাইব্রিডদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানদের পদে আনতে পারলে সংগঠন শক্তিশালী হবে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এ বছরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’