ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েরা এখন স্বপ্ন দেখছেন ফাইনালের। তবে শিরোপা লড়াইয়ের শেষ ধাপে পৌঁছাতে ভুটানবাধা পার হতে হবে সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানী সরকারদের।
পরিসংখ্যান বলছে, এগিয়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ভুটানের বিপক্ষে ২০১০ সালে প্রথম দেখায় ৯-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরে ২০১২ ও ২০১৯ সালেও শেষ হাসি হেসেছে তারা। পরিসংখ্যান যাই বলুক, বাংলাদেশকে হুমকি দিয়ে রাখলেন ভুটানের অধিনায়ক গালেই ওয়াঙ্গমোর। জানিয়ে রাখলেন, এবারের লড়াই একপেশে হবে না। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনাও চান, ভুটান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।
শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিতে এসেছে ভুটান। বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে এ জয় থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন ওয়াঙ্গমোর, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টি দলকে অনেক শক্তি জোগাচ্ছে। বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী দল। তবে আশা করি, এটা একপেশে ম্যাচ হবে না।’
অন্যদিকে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ভুটানকে হারাতে পারলে ছয় বছর পর আবার সাফের ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৬ সালের পর প্রথম ও সবশেষ শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে নেমেছিল তারা। অতীত ইতিহাস পক্ষে থাকলেও ভুটানকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না সাবিনা, ‘ভুটান আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো দল। দেখা যাক, আমরা চেষ্টা করব, আমাদের সেরাটা দেওয়ার। আমিও চাই না, একপেশে ম্যাচ হোক।’