আগৈলঝাড়া উপজেলার কোদালধোয়া-জোবারপাড় সড়কের একটি সেতুতে গর্ত হয়ে গেছে। এতে রড বের হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে সেতুটি। কিন্তু সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা কালিপদ হালদার, রমেশ বৈদ্য, সুমন বৈরাগীসহ আরও অনেকে জানান, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া-জোবারপাড় সড়কের মধ্যবর্তী জলিরপার গ্রামে ৭ বছর আগে একটি ঢালাই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় সেতুর ঢালাই খসে পড়েছে। তিন বছর আগে ওই সেতুর বিভিন্ন স্থানে ভেঙে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সেতুর দুই পাশের কোনো রেলিংও নেই। ওই গর্তের কারণে সেতু দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও সেতুটি পেরোতে হচ্ছে। কৃষকদের পণ্য আনা-নেওয়া করতেও সেতুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের সেতুটি ব্যবহার করতে হওয়ায়
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির একপাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সেতুটি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন একাধিক লোকজন। সেতুটির ঢালাই ধসে পড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন তৎপরতা নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিবলু কর্মকার জানান, কোদালধোয়া-জোবারপাড় সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে।