ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ পাচার রোধে পদক্ষেপ ও ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ-সংক্রান্ত পৃথক তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তাঁকে জানান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন, যথাযথভাবে প্রতিবেদন দিতে। এসব আমরা টলারেট করব না। নোটিশ জারির পরেও যখন তারা রেসপন্স করবে না, তখন বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি নেব।’
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ই-কমার্স নিয়ে আদালত তিনটি আদেশ দিয়েছিলেন। এসব কোম্পানি সরকারকে রাজস্ব দেয় কি না, তা এনবিআরকে জানাতে বলা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছিল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিতে। এ ছাড়া মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। সরকারপক্ষ দুবার সময় নিলেও প্রতিবেদন দেয়নি। এ জন্য আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম। ই-অরেঞ্জে কয়েক কোটি টাকা আটকে থাকায় ৩৩ জন গ্রাহকের পক্ষে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন শিশির মনির। এ ছাড়া ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুই গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব আরও একটি রিট করেন।