ব্যস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই সপ্তাহে দুই দিন হাট বসছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া বাজারসংলগ্ন মহাসড়কের পাশেই এই হাট বসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মহাসড়ক দিয়ে ২৬ জেলার যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কের পাশের অনেকটা অংশজুড়ে সপ্তাহে ওই দুদিন ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। ক্রেতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক অতিক্রম করে এসব দোকান থেকে পণ্যসামগ্রী কিনে থাকেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের ওই স্থানের দুই পাশে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে সার্ভিস লেনের সড়ক বিভাজনের ওপর ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রী সাজিয়ে বসে আছেন। কাঁচাবাজার, শীতের পোশাকসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন তাঁরা। হাটে আসা নানা বয়সী মানুষ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে সেসব পণ্য কেনাবেচা করছেন।
এতে মহাসড়কের ওই অংশে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনাবেচা করা ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয সচেতন নাগরিকেরা হাট তুলে দেওয়ার দাবি জানান।
হাটে আসা পেঁয়াজ-মরিচের ব্যবসায়ী সেলিম ও আয়নাল হোসেন, শীতের কাপড়ের ব্যবসায়ী ওসমান গনি জানান, তাঁরা বিভিন্ন হাটে মালামাল বিক্রি করে থাকেন। শনি ও মঙ্গলবার তাঁরা সোহাগপাড়া হাটে এসে পণ্য বিক্রি করেন।
মহাসড়কের ওপর এভাবে বসে পণ্য বেচাকেনার কথা জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ‘কী করব? হাটের জায়গা না-থাকায় এভাবে ঝুঁকি নিয়ে বসতে হচ্ছে।’
সোহাগপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ূন কবির বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। ব্যবসায়ীসহ হাটে আসা মানুষজনেরও খুবই দুর্ভোগ হয়। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মহাসড়ক থেকে বাজার উচ্ছেদ করার দাবি জানান তিনি।
হাটের ইজারাদার আব্দুর রশিদ বলেন, মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের ফলে বাজারের জায়গা কমে গেছে। ফলে হাটের দিনে ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের সার্ভিস লেনের ওপর বসে বেচাবিক্রি করে থাকেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, ‘মহাসড়কে দোকান বসার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে আমরা দোকান সরিয়ে দিই।’ আজ সকালেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’