Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিজিবির ‘কৌশলে’ কাঁদছে ইব্রাহীমের পরিবার

প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম

বিজিবির ‘কৌশলে’ কাঁদছে ইব্রাহীমের পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ইব্রাহীম আলী (২৮) নিহত হওয়ার পর ২১ দিন পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে লাশ ফেরত নিতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বজনহারা পরিবারটি বারবার বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি। অবশ্য বিজিবি বলছে, কৌশলগত কারণে ইব্রাহীমের লাশ ফেরত নেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সীমান্তে কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ভারতের সঙ্গে সীমান্তে গত ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে বিএসএফের ৭০ শশ্মানী ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার আজমতপুর গ্রামের ইব্রাহীম আলী। এ ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে মরদেহ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ইব্রাহীমের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই নিহত হওয়ার তিন দিন পর বিএসএফ মরদেহ ফেরত দিতে চায়। কিন্তু তখন আর বিজিবি সাড়া দেয়নি। এই অবস্থায় ইব্রাহীমের লাশ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে বিএসএফের জিম্মায়ই ছিল।

ইব্রাহীমের মা ফুরকুনি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মারা যাওয়ার ২১ দিন পার হলো, তবু লাশ দেখতে পেলাম না। আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি ছিল সে। সে তো নাই, তার লাশটা অন্তত একবার দেখতে চাই। বাড়িতে ফেরত নিয়ে দাফনের সুযোগ চাই।’

ইব্রাহীমের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, তাঁর পাঁচ বছর বয়সী দুই যমজ সন্তান বাবার জন্য কেঁদেই চলেছে এখনো। কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, বিজিবি ক্যাম্পে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাননি তাঁরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আমির হোসেন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৌশলগত কারণে মরদেহ ফেরত নেওয়া হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার নয়’
সীমান্ত হত্যা বন্ধে লিথাল আর্মস (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করা হবে না মর্মে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রংপুরে গতকাল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১৩) আয়োজিত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নে ধরলা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব ও সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। সীমান্তের ওপারে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে এপারের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের নানা কাজে সুসম্পর্ক থাকে। হয়তো মনের টানে নিজের অজান্তে অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। হয়তো অনেকে যেটা করা উচিত নয়, সেটাও করে ফেলেন। এ জন্য মাঝেমধ্যে দু-একটা ঘটনা ঘটে যায়।’

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড বন্ধে গৃহীত উদ্যোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এবং বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্তটা এমনই যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে। আমরা দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সীমান্তে লিথাল আর্মস ব্যবহার করা হবে না। তারপরও মাঝেমধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ