দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকের। এতে চলতি মৌসুমের ধান সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধান সংগ্রহে চেষ্টা চলছে, অভিযানের বাকি সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।
হিলির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর মোমেন বলেন, ‘আমাদের ধান খোলাবাজারে বিক্রি করাই ভালো। গুদামে দিতে নানা ঝামেলা, আর আড়তে বিক্রি করা সহজ। কারণ তাঁরা বাড়ি থেকে ধান তুলে নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে টাকা খরচ করে গুদামে নিয়ে গেলেও নানা কারণে টাকা দিতে দেরি হয়। ফলে এসব ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে গুদামে ধান দিতে চান না কৃষকেরা।’
কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিঘাপ্রতি ১৪-১৫ মণ ধানের ফলন হয়েছে। ধানের যে দাম, তাতে আমরা কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছি। তবে গুদামে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারেই ধানের দাম বেশি। এর ওপর গুদামে ধান দিতে গেলে নানা ঝামেলা। যার কারণে কৃষকেরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হন না।’
হিলির ছাতনি চারমাথা মোড়ে ধানের আড়তদার নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা বর্তমানে স্বর্ণা ৫ জাতের ধান ক্রয় করছি ১ হাজার ৪০ থেকে ১ হাজার ৪৫ টাকায়। আর গুটিস্বর্ণা জাতের ধান ১ হাজার ১০ টাকা করে। তবে কিছুদিন আগে এসব জাতের ধানের দাম আরও কিছুটা বাড়তি ছিল, বর্তমানে কিছুটা কমেছে।’
হিলি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জোসেফ হাসদা বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ৪৪৬ টন ধান সংগ্রহের বরাদ্দ পেয়েছি। ২৭ টাকা কেজি দরে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৮০ টাকা করে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। গত ৭ নভেম্বর হিলি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। ওই দিন দুজন কৃষকের কাছ থেকে দুই টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছি। তারপর এখন পর্যন্ত আর কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী বাকি ৪৪৪ টন ধান সংগ্রহ করতে পারব।’