কোনো কাজ ছোট নয়। প্রতিটি কাজকে সম্মান করা উচিত। সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সেই কাজই একদিন ভাগ্যবদলে দিতে পারে। তেমনি ভাগ্যবদলে গেছে, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মালসা দাহ এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের। দৈনিক মজুরিতে কাজ করে কষ্টের মধ্যে সংসার চালাতে হতো তাঁকে। এখন সেই কষ্টের অবসান ঘটেছে। প্রায় ১০ বছর ধরে ঘাস আর পাতার ব্যবসা করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
১০ বছর আগে জামাল উদ্দিনের এক বিঘা জমিতে গোখাদ্যের চাহিদা মেটাতে ঘাস লাগান এবং তা বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ক্রেতাদের কাছে থেকে ভালো সাড়া পেতে থাকেন। এদিকে এলাকার লোকজনও বাজারে ঘাস-পাতা পেয়ে কিনতে থাকেন গৃহপালিত পশুর জন্য। এক আঁটি ঘাস বিক্রি হয় ১২ টাকা আর পাতা প্রতি আঁটি ২০ টাকা করে।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে থেকে ব্যবসা করছি। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকার ঘাস পাতা বিক্রি করি। খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। চার সদস্যের সংসার নিয়ে সুখেই আছি।’
জামালের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করছে। আর মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। জামাল জানান, নিজের ১ বিঘা জমির পাশাপাশি জমি লিজ নিয়ে ঘাসপাতার চাষ করছেন। মাসে তাঁর ৫০ হাজার টাকার মতো আয় হয়।
স্থানীয়রা বলেন, বাড়ির গৃহপালিত পশুর জন্য ঘাসপাতা সংগ্রহ করা লাগে। আর এখন বাজারেই সব পাওয়া যায়। বর্তমানে অনেকেই এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। তা ছাড়া এতে অনেকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অবশ্যই একটা ভালো দিক।