মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সরকারি ছুটিতে গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের স্রোতোধারা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
গতকাল সোমবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার পর্যটক গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে আসেন। পরিবার-পরিজন আর বন্ধুবান্ধব নিয়ে তাঁরা স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন।
সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। প্রতিদিনই এখানে পর্যটকে মুখর থাকে। বিশেষ করে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের সমাগম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। নদী, স্বচ্ছ জল, আর ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান পর্যটকেরা। পাশাপাশি খাসিয়াপল্লি, মায়াবী ঝরনাও মন কাড়ে তাঁদের। এই তিনটি পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে গতকাল সোমবার সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছেন জাফলংয়ে।
এ ছাড়া বিছনাকান্দি ও জলারবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
জাফলংয়ে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকেই দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে এসেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণে এসে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ভারতের ডাউকী পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জল দেখে যেন তাঁরা মুগ্ধ। হাতে থাকা স্মার্ট ফোন কিংবা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে আনন্দঘন মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে নদী পার হয়ে খাসিয়াপল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশে যাচ্ছেন। তবে, বিকেলের দিকে প্রায় আধঘণ্টার মতো হালকা বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেক পর্যটক। তারপর কমতে শুরু করে পর্যটকদের আনাগোনা। এদিকে, ঠাঁই ছিল না এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে। রেস্তোরাঁ গুলোতেও ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী আসাদ আলী জানান, শুরুতে বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। তবে, বিকেলের দিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কিছুটা কম হয়েছে।
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘গতকাল কয়েক হাজার লোক জাফলংয়ে বেড়াতে এসেছেন। তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছি।