Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ইভিএম বিড়ম্বনায়ও ভোট উৎসব

সিলেট প্রতিনিধি

ইভিএম বিড়ম্বনায়ও ভোট উৎসব

সব শঙ্কা ছাপিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো সিলেটের পাঁচ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ভোট। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে ভোটারদের। তবে শেষ পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিয়েছেন ভোটারেরা।

ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা গেছে, ইভিএমে ভোট দিতে নারীদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। বৃদ্ধরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি ইভিএমে। অনেকের আঙুলের ছাপ চিহ্নিত করতে পারেনি ইভিএম। ফলে সকাল থেকেই কিছুটা ধীর গতিতে ভোটগ্রহণ হয়।

এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ফুলেছা বেগম বলে, ‘ভোট দিতে এসে দেখি আঙুলের ছাপ মিলছে না। ফলে ভোট না দিয়েই ফিরতে হয়েছে।’

এ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের আব্দুস সোবহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭৫ বছরের নেওয়ারুননেছাও আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি।

উসমানপুর ইউনিয়নের ভোটার আব্দুল্লাহ মুফলে বলেন, স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ থাকে। কারণ প্রার্থীরা একে অন্যের পরিচিত। তাই সবাই কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।

ইভিএমে ভোট হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হলেও স্বচ্ছভাবে ভোট হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসমানীনগর উপজেলার আট, দক্ষিণ সুরমার দুই, বিশ্বনাথের দুই, গোয়াইনঘাটের দুই ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি ইউপিতে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠ ধাপের ভোট। এবারই প্রথম সব কটি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।

ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর, সাদীপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গা, গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর ও উসমানপুর ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ও কামালবাজার ইউনিয়ন, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চি ইউপি, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ও পশ্চিম আলীরগাঁও এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর (পশ্চিম) ইউপিতে হয় ভোটের লড়াই।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পাঁচ উপজেলার ১৫০টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬২ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান বলেন, ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। কড়া নজরদারির কারণে ভোটে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তাই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মোহাম্মদ মিঞা বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ইউনিয়নে চারজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। এর বাইরেও কোথাও দুজন, কোথাও তিনজন, এমনকি কোথাও পাঁচজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, আনসার, অঙ্গীভূত আনসারের ২২ জনের ফোর্স। ভোটার ও প্রার্থীদের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ করা হয় ১৫ ইউপিতে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ