Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন: আ. লীগের ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন: আ. লীগের ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীসহ আওয়ামী লীগের ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন এ প্রতিবেদন জমা দেন।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে সদর উপজেলার পোদ্দারবাজার থেকে নাগের হাটে যাচ্ছিলেন তৎকালীন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম। পথে পশ্চিমবাজার এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁদের গতিরোধ করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নোমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ইমাম। পরদিন (২৬ এপ্রিল) নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আবুল কাশেমসহ ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। অভিযুক্ত সবাই আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আবুল কাশেম ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন নোমানের ভাই মাহফুজুর রহমান। ওই নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেম ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে নোমানের লোকজনের দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মামলার বাদী মাহফুজুর রহমান অভিযোগ করেন, ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে এ প্রতিবেদন দিলেও তাঁর (বাদী) শঙ্কা কাটছে না। আসামিদের হুমকি-ধমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে। তিনি বলেন, ঘটনার এত দিনেও প্রধান আসামি আবুল কাশেম ধরা পড়েনি। উদ্ধার হয়নি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো।
এ দিকে নিহত ছাত্রলীগের নেতা রাকিব ইমামের ভাই বলেন, ‘আবুল কাশেম মোবাইল ফোনে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তাঁদের ভয়ে বাড়িতেও যেতে পারছি না।’ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

আসামিদের আইনজীবী মো. নুরুল হুদা পাটওয়ারীর দাবি, মূল আসামিদের অন্তরালে রেখে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ মামলায় অন্যায়ভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। অভিযুক্ত ৩২ জনের মধ্যে অনেকেই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘এটি একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে যাঁরা জড়িত রয়েছেন, তাঁরাই অভিযুক্ত হন।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ